বাংলাদেশ প্রতিদিন
কর্নফুলী ব্রীজ, চট্রগ্রাম। |
এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে গত সপ্তাহে তিন দিন হরতালের পর রোববারও একই কর্মসূচি দেওয়া হয়। রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর সোমবারও দিনব্যাপী হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।
হরতালের শুরুতেই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি মিছিল বের হওয়ার পরপরই কাছাকাছি তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।
ভোর থেকেই বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মোস্তাফিজুর রহমার বাবুলের নেতৃত্বে ওই মিছিল বের হয়েছিল। মিছিল থেকে পুলিশ রিজভী, বাবুলসহ কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয়। কয়েক মিনিট পর অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই সময় ১৮ দলীয় জোট শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বিএনপি কার্যালয়ে এলে তাকেও আটক করে পুলিশ। আটক করা হয় ছাত্রদল নেত্রী নিশীতা ও উর্মিকে। তাদের সবাইকে পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বরাবরের মতোই বিএনপি কার্যালয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে অবস্থান নিলেও কোনো কর্মীকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার বিরোধী দলকে তার গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। তারা দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে।”
গত ১৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক মো. আনসার। তাদের সরকার গুম করেছে বলে বিএনপি দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবি করে ফখরুল বলেন, “আমরা ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালককে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবারো অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, সরকারের এজেন্সির লোকজনই তাদের তুলে নিয়ে গেছে।”
ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে গত সপ্তাহে বিএনপি তিন দিন হরতাল করলেও এবারের দুদিনের হরতাল ডাকা হয়েছে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে।
রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে রামপুরাও মিরপুরে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল দেখা গেছে। তবে পিকেটিং খুব একটা নেই।
হরতালে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ট্রেন, বিমান ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকার সড়কে কিছু বাস চলছে। চলছে টেম্পু ও অটো রিকশাও। অন্যান্য হরতালের মতো রাজপথে প্রচুর রিকশা রয়েছে।
হরতালে অফিস-আদালত খোলা থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। রোব ও সোমবারের এইচএসসি পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে।